| |
               

মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হিসেবে পরিচিত : পরশ


এখন বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হিসেবে পরিচিত : পরশ


রহমত নিউজ ডেস্ক     15 February, 2023     08:04 PM    


বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপির সময় পুলিশ বাহিনী তখন পুলিশ বাহিনী ছিল না। ছিল বিএনপির দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী। সেই দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীর তুলনায় আজকে আমাদের পুলিশ বাহিনী তো ফেরেশতা। তাদের পা ধুয়ে পূজা করা উচিত। পুলিশ বাহিনী আপনাদের যে পরিমাণ সম্মান দেয়। যে রকম আচরণ করে আপনাদের সঙ্গে। এমন তো আমাদের সময় আমরা পাইনি। সুতরাং আপনাদের উচিত এসব পুলিশ অফিসারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান করে বলতে চাই, পুলিশ বাহিনীর ওপর যারা হাত উঠিয়েছে তাদের সিসি ক্যামেরা দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এখন শেখ হাসিনার বাংলাদেশের পুলিশ জনগণের সেবক হিসেবে পরিচিত। তারা জঙ্গিবাদ নির্মুল করেছে পুরো বিশ্বের সুনাম অর্জন করেছে।

আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘পদযাত্রার নামে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে যুবলীগের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।সমাবেশ শেষে একটি মিছিল আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জিরো পয়েন্ট ঘুরে বাইতুল মোকাররম প্রদক্ষিণ করে আবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

পরশ বলেন, বিএনপি নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য রাজনীতি করছে, চ্যালেঞ্জ করছি বিএনপি ২০০১ সালের ইশতেহারে কয়টা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে৷ আর আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে কি করেছি আপনারা দেখান। তারপর কোন মুখ নিয়ে জনগণের কাছে যাবেন। আপনাদের (বিএনপি) নেতা (তারেক জিয়া) তো পালিয়ে থাকে জনগণের সামনে আসতে চায় না। কারি কারি টাকার পাহাড়ের ওপর বসে বিদেশে পালিয়ে থেকে সরল-সহজ বাংলাদেশি জনগণ এবং তরুণদের ব্যবহার করছে। নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য। সর্বোপরি তিনি একজন প্রতারক এবং কাপুরুষ। কোন একদিন তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে। সেই দিন দূরে নয় যেই দিন নিজ দলের নেতাদের দ্বারা বিএনপির এসব নেতা লাঞ্ছিত হবে। শুধু মাত্র ভণ্ডামি আর প্রতারণা করার জন্য। মিথ্যার ও প্রতারণার ওপর রাজনীতি বেশি দিন চালানো যায় না। বিএনপির বর্তমান পরিকল্পনা তারা লাশ চায়। দুই চারটা লাশ পড়লে তাদের (বিএনপি) উপকার হয়। দুই-চারটা লাশ ফেলে কীভাবে নির্বাচন বানচাল করা যায় এটাই বিএনপি চাচ্ছে।  

তিনি আরো বলেন, বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এ দেশে কোন নির্বাচন হবে না, ১০ মাস পরে নির্বাচন অবশ্যই হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। একটা কার্যকরী নিরপেক্ষ ও অবাধ এবং যথাযথ পদ্ধতিতেই নির্বাচন হবে। কোনো বিদেশি প্রভূদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাংলার মাটিতে নির্বাচন হবে না। সুতরাং এসব পথে হেঁটে লাভ নেই। আপনাদের কুকীর্তির জন্য জনগণের কাছে গিয়ে মাফ চান এবং তাদের সেবা করুন। একই সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাফ চান। বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচন করেছে। বিএনপির রাজনীতির প্রতি জনগণের আস্থা নেই। আমরা জনগণের পাশে থাকব। জনগণের জানমাল রক্ষায় সজাগ এবং সতর্ক দৃষ্টি রাখব। প্রয়োজনে শক্তি প্রদর্শন করব।